কেননা এখানে এলে বাঙালির মনেই হয় না তারা ভিন্ন কোনো দেশে আছে। এখানকার দোকানপাট, হোটেল ইত্যাদির মালিক-কর্মচারীর বেশির ভাগই বাংলাদেশি। এমনকি হোটেলের গ্রাহকদেরও বেশির ভাগ বাঙালি। মাঝেমধ্যে দু-একজন পাকিস্তানি দোকানদার-কর্মচারীও অবশ্য চোখে পড়ে।
এখানকার সফল প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মুনা গোল্ডেন হোটেলের আলেম স্বত্বাধিকারী মাওলানা শরফুদ্দীন বলেন, ‘এই এলাকায় এলে কারো মনেই হবে না সে নিজের দেশের বাইরে আছে; মানুষের চেহারা, ভাষা, আন্তরিকতা, দোকানপাট, হোটেল ইত্যাদির পরিবেশ, ডেকোরেশনে বাঙালিয়ানার ছাপ আছে। একজন বাঙালি মুসলমানের জন্য এই এলাকায় কর্মস্থল পাওয়াও ভাগ্যের বিষয়।
মসজিদ-ই-নববী খুব কাছে হওয়ায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদ-ই-নববীতে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করা যায়। আশপাশে বাঙালি বেশি থাকায় সবাইকে আত্মীয়-স্বজন মনে হয়। এলাকায় হজ-ওমরাহে আগত বাঙালিদের আনাগোনা বেশি থাকায় মাঝে মাঝে অনেক আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। ফলে প্রবাস জীবন কষ্টের হলেও এসব বিষয় আমাদের অন্য রকম প্রশান্তি দেয়। ব্যবসার পাশাপাশি আল্লাহর মেহমান হাজিদের সেবা করতে পারা অনেক পুণ্যের ও আনন্দের। ’