বার্তা সংস্থা ইকনা: কয়েক সপ্তাহ আগে বিদেশ ভ্রমণ শেষে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পথে মার্কিন বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে বলে ইবতিহাজ মুহাম্মদ সংবাদমাধ্যমকে জানান।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত ভিসা ও অভিবাসন এবং মুসলিমদের নিষেধাজ্ঞার কারণেই তাকে আটক করা হয়েছিল- এমন দাবি যদিও তিনি করেন নি।
এছাড়াও, ইবতিহাজ মুহাম্মদ নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেননি তিনি কোথায় ভ্রমণে গিয়েছিলেন কিংবা কবে এ ঘটনা ঘটেছিল তার সঠিক কোন তারিখ উল্লেখ করেন নি।
ইবতিয়াজ ‘পপসুগার ম্যাগাজিন’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি আপনাকে বলতে পারব না কেন এটা আমার সঙ্গে ঘটেছে। কিন্তু আমি জানি, আমি একজন মুসলিম। আমার একটি আরবি নাম রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যদিও আমি মার্কিন টিমের প্রতিনিধিত্ব করছি এবং আমি একজন অলিম্পিক হার্ডওয়্যার। তবুও, আমার প্রতি মানুষের মনোভাবের কোনো পরিবর্তন হয়নি।’
কিন্তু ইবতিয়াজের জন্য বিচ্ছিন্নতার এই অনুভূতি নতুন কিছু নয়। তিনি ছোটকাল থেকেই খেলাধূলা করেই বড় হয়েছেন এবং তখন থেকেই তার মাঝে নিজেকে ভিন্ন অনুভূত হতে থাকে। যখন তার সতীর্থরা টিশার্ট ও হাফপ্যান্ট পরতেন তখন ইবতিয়াজ মুহাম্মদ পরিপূর্ণ ইসলামি পোশাকে নিজেকে ঢেকে রাখতেন।
হিজাব পরা সম্পর্কে ইবতিয়াজ বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমার সতীর্থরা তাদের টিমে হিজাব পরিহিত কোন নারীকে দেখতে পায় এবং এটা আমার জন্য এক দারুন অভিজ্ঞতা ছিল।’
২০১৬ সালের রিও অলিম্পিক মার্কিন টিমে জায়গা পাওয়া তার জন্য একটি অবিশ্বাস্য মাইলফলক ছিল। তিনি প্রথম আমেরিকান ক্রীড়াবিদ হিসেবে হিজাব পরে ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
তিনি বলেন, ‘মুসলিম নারীরা নম্র ও নিরীহ এবং নিপীড়িত হয়ে থাকে আমি এই আখ্যানকে চ্যালেঞ্জ করতে চেয়েছি।’
খেলায় তার যোগ্যতা নিয়ে অনেকেই প্রশংসা করেছেন এবং সেসময় প্রেসিডেন্ট ওবামার তার সঙ্গেও সাক্ষাত হয়েছেন। এছাড়াও, স্টিফেন কলবার্ট ও এলেন ডি’জেনারসের মতো ব্যক্তিরা তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
সাক্ষাৎতের পর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘আমি তাকে দেশের জন্য স্বর্ণ আনতে বলেছি।’
ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীন নিজেকে রোল মডেল হিসেবে তৈরি করতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বলেও তিনি জানান।
সূত্র: বক্স ডটকম