বার্তা সংস্থা ইকনা: তবে শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে দুর্বৃত্তরা ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। কিছু গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় কনস্যুলেট কর্মীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।
কোনো কোনো সূত্র বলছে, ইরান ও ইরাকের মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলো যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা ভণ্ডুল করার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। এক সময় ইরাকের বিস্তীর্ণ এলাকা দখলকারী উগ্র তাকফিরি জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরানের সহযোগিতাকে কেন্দ্র করে তেহরান ও বাগদাদের মধ্যে এই সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
সাইয়্যেদ আম্মার হাকিমের প্রতিক্রিয়া
সম্প্রতি বাসরার ঘোলাটে পরিস্থিতির ব্যাপারে ইরাকের ন্যাশনাল হিকমত পার্টির প্রধান সাইয়্যেদ আম্মার হাকিম উদ্বেগ প্রকাশ করে বসরায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
নিরাপত্তা কর্মীদের অবহেলার ফলে বসরায় বিক্ষোভকারীরা এধরণের হামলা চালিয়েছে। এ ব্যাপারে দ্রুত তদন্ত শুরু করার আহ্বান জানাচ্ছি।
সম্প্রতি বাসরার বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদ জানিয়ে ইরাকের মারজায়ে তাকলীদ আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ কাযেম হায়েরী বলেন: বিক্ষোভাকরীদের অধিকার তার বৈধ ও সুষ্ঠু ভাবে বিক্ষোভ চালিয়ে তাদের দাবিকে পূরণ করবে। কিন্তু পাবলিক এবং প্রাইভেট সম্পত্তি উপর আক্রমণ চালানোর বিষয়টি সমর্থনযোগ্য নয়। অধিকার এবং প্রতিকারের দাবি জানিয়ে এগুলো ক্ষতি করা মোটেও ঠিক নয়।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি ইরাকের বসরা শহরে ইরানি কনস্যুলেটে বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এ ঘটনার হোতাদের চরম শাস্তি দাবি করেছেন।
তিনি শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইরাকের সব কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা রক্ষা করার দায়িত্ব বাগদাদ সরকারের। কাজেই বাগদাদকে অবিলম্বে ইরানি কনস্যুলেটে হামলাকারী ও এর পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
একইসঙ্গে তিনি ইরাক ও ইরানের সুসম্পর্ক নস্যাৎ করার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হোতাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।