বার্তা সংস্থা ইকনা: বসরায় মার্কিন কূটনীতিকদের ওপর যেকোনো সময় হামলার আশঙ্কা ব্যক্ত করে দাবি করা হয়েছে, কনস্যুলেট ভবনের কর্মীদের ওপর হামলার হুমকি বেড়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আজ-জুবায়ের মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, ইরানকে মোকাবেলা করার জন্য আমরা আমেরিকার নয়া পরিকল্পনাকে সমর্থন করি।
এদিকে, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসিতে ইরানের সাবেক প্রতিনিধি সাবাহ জাঙ্গানেহ ইরান ও ইরাকে সহিংসতা উস্কে দেয়ার জন্য নতুন করে সৌদি আরবের ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, বিভিন্ন সাক্ষ্য-প্রমাণে দেখা যায় সৌদি আরব আমেরিকার সঙ্গে যুক্তি করে অজ্ঞাত কিছু গোষ্ঠীকে ইরানের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। সৌদি আরব কেবল হুমকি দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি বরং সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে প্রকাশ্যে ইরান বিরোধী তৎপরতা শুরু করেছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বসরায় মার্কিন কনস্যুলেট ভবন বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, ট্রাম্প প্রশাসন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরানের সামরিক তৎপরতার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। দ্বিতীয়ত, গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ইরাকের বসরা শহরে বিক্ষোভ হয় এবং বিশৃঙ্খলার সুযোগে একদল দুষ্কৃতকারী বসরায় ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলা চালায়। ফলে পাল্টা হামলার আশঙ্কা মার্কিনিদের মধ্যেও রয়েছে। মার্কিন কনস্যুলেট ভবন বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে তৃতীয় সম্ভাব্য কারণ হতে পারে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত এক বছর ধরে ব্যয় কমানোর জন্য বসরায় তাদের কনস্যুলেট ভবন বন্ধ করে দেয়ার কথা বলে আসছিল।
ইরাকের বসরা শহরে মার্কিন কনস্যুলেট ভবনে প্রায় ১০০০ কর্মচারী রয়েছে। ২০১১ সালে এটি উদ্বোধন করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস অবশ্য জানিয়েছে বসরায় মার্কিন কনস্যুলেট ভবন এমন সময় বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হল যখন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক তিনজন কর্মকর্তা ব্যয় কমিয়ে আনার জন্য এক বছর আগেই বসরার কনস্যুলেট বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেছিলেন। কনস্যুলেট বন্ধের ফলে বছরে আমেরিকার প্রায় ২০ কোটি ডলার সাশ্রয় হবে। কেউ কেউ বলেন, এখানে বছরে আমেরিকার প্রায় ৩৫ কোটি ডলার খরচ হত।
তবে দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল লিখেছে, বসরায় মার্কিন কনস্যুলেট ভবন বন্ধের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক। দৈনিকটি লিখেছে, ইরাকে যুদ্ধ ও সহিংসতা যখন তুঙ্গে তখন একাধিকবার বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটলেও আমেরিকা কখনো দূতাবাস বন্ধ করেনি।