বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: শিয়া মাযহাবের দৃষ্টিতে এবং ইসলামী শিক্ষার ভিত্তিতে ইমাম হচ্ছেন সৃষ্টির সকল অস্তিত্বের মাঝে আল্লাহর রহমত পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম। তিনি হচ্ছেন সৃষ্টিজগতের কেন্দ্রবিন্দু ও মানদণ্ড এবং তিনি না থাকলে পৃথিবী ,মানুষ ,জ্বীন ,ফেরেশতা ,পশু ও জড়বস্তু কিছুরই অস্তিত্ব থাকবে না।
ইমাম জাফর সাদেক (আ.)-এর কাছে প্রশ্ন করা হল ,ইমাম ব্যতীত পৃথিবীর অস্তিত্ব টিকে থাকতে পারে কি ?
তিনি বললেন: “ ইমাম না থাকলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।
সৌরজগতে সূর্যের ভূমিকা সবচেয়ে বেশী। তাকে কেন্দ্র করে অন্য সব গ্রহ অনবরত ঘুরছে। অনুরূপভাবে ইমাম মাহদী (আ.)ও সকল সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু।
ببقائه بقیت الدنیا و بیمنه رزق الوری و بوجوده ثبتت الررض و السماء
তার কারণেই পৃথিবী অস্তিত্বমান এবং তার বরকতেই পৃথিবীর সকলেই রিযিক প্রাপ্ত হয় এবং তার বরকতেই পৃথিবী ও আকাশ প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।
শেখ মুফিদ (রহ.)-এর কাছে লেখা ইমাম মাহদী (আ.)-এর একটি চিঠিতে শিয়া মাযহাবকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন:
انا غیر مهملین لمراعاتکم و لا ناسین لذکرکم ذلک لترل بکم اللاواء و اصطلمکم الاعداء
আমরা কখনোই তোমাদেরকে তোমাদের উপর ছেড়ে দেই নি এবং কখনোই তোমাদেরকে ভুলে যাই নি। যদি তা না হত তাহলে তোমরা অনেক বালা- মুসিবতের সম্মুখীন হতে এবং শত্রুরা তোমাদেরকে ধ্বংস করে ফেলত ।
ইমাম মাহদী(আ.) বলেছেন: اَنَا خاتِمُ الأوصياءِ وَ بي يَدفَعُ اللهُ البَلاءَ عَن اَهلي و شيعَتي؛ আমি হচ্ছি শেষ ওয়াসি আমার মাধ্যমে আমার আহলে বাইত ও আমাদের শিয়াদের থেকে বালামুসিবত দূর হবে।