২০১২ সালে রাখাইন প্রদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলিমদের সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের যে সংঘ'র্ষ হয়েছিল তার নেপথ্যে ক'ট্ট'রপন্থী এই বৌদ্ধ সাধু ছিলেন বলেই দাবি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির। এর জন্য তাকে ‘বৌদ্ধ বিন লাদেনে’র তকমাও দিয়েছিল তারা।
মায়ানমারের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের মে মাসে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় মায়ানমারের সর্বোচ্চ নেত্রী আন সাং সুচির তী'ব্র সমালো'চনা করেন আশিন উইরাথু। অপ'মানসূচক কথাবার্তা বলেন। শুধু তাই নয়, ওই সভা থেকে মায়ানমারে মিলিটারি শা'সনের উপকারিতার কথা বোঝাতে গিয়ে দেশের সংসদে থাকা সেনা প্রতিনিধিকে ভগবান বুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেন।
তার এই সভার ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে আদালতে মামলা দায়ের হয়। দেশদ্রো'হিতা ও জাতিগত বিদ্বে'ষ ছড়ানোর অ'ভিযো'গ ওঠে। সরকারি পক্ষের বক্তব্য শোনার পরেই উইরাথুর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। আর তারপর থেকেই পলাতক ছিলেন ওই ফায়ারব্র্যান্ড বৌদ্ধ সাধু। সোমবার ইয়াঙ্গনের একটি পুলিশ স্টেশনে ঢোকার আগে অল্প কয়েকজন অনুগামীর সামনে আগামী রবিবারের জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে মন্তব্য করতে দেখা যায় আশিন উইরাথুকে।
তিনি বলেন, ''দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা আমার অনুগামী সাধুদের কাছে একটাই অনুরোধ করব। তারা যেন তাদের অনুসরণকারী মানুষদের দেশের উন্নয়ন ও ধর্মকে রক্ষা করার জন্য যে দল কাজ করবে তাকে ভোট দিতে বলেন। আজ আমি যে পরি'স্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছি তা সরকারের জন্যই। আপনারা শয়'তানের দো'সর বর্তমান শা'সকদলকে পরাজিত করে এর উপযুক্ত জবাব দিন। এখন আমি পুলিশের কাছে যাব এবং তারা যেটা চাইবে সেটাই করব।''
সূত্র: mtnews24