ফিলিস্তিনের অধিকৃত জেরুজালেমের পবিত্র মসজিদুল আকসায় প্রবেশে বিধি-নিষেধ অব্যাহত রয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে গত ৪৮ দিন ধরে পবিত্র এ মসজিদে মুসল্লিদের নামাজ পড়তে বাধা দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি পুলিশ। এ নিয়ে গত সাত জুমার নামাজে পবিত্র মসজিদুল আকসা প্রাঙ্গণ প্রায় মুসল্লিশূন্য দেখা গেছে।
আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
জেরুজালেমের ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগ জানিয়েছে, পবিত্র আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ প্রায় মুসল্লিশূন্য ছিল। সেখানে শুধু অল্পসংখ্যক বয়স্ক মুসল্লি প্রবেশ করতে পেরেছেন। এ নিয়ে গত সাত জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে ইসরায়েলি পুলিশ। আকসা প্রাঙ্গণে শুধু ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
ওয়াকফ বিভাগ আরো জানায়, সাধারণত পবিত্র মসজিদুল আকসায় ৫০ হাজারের বেশি মুসল্লি জুমার নামাজ পড়েন। কিন্তু আজকের জুমার নামাজে মাত্র পাঁচ হাজার লোক নামাজ পড়েছেন। গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলি পুলিশ মসজিদে প্রবেশে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। আর জুমার দিনে তাদের এসব বিধি-নিষেধ আরো কঠোরভাবে পালন করা হয়।
ফলে সাধারণ মুসল্লিরা পবিত্র আল-আকসার বাইরে বিভিন্ন সড়কে নামাজ পড়েন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামাসের হামলার জেরে ফিলিস্তিনের গাজায় উপত্যকায় গত ৪৮ দিন ধরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে; যার মধ্যে ছয় হাজার ১৫০ শিশু ও চার হাজারের বেশি নারী রয়েছে। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় সাত হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আজ (২৪ নভেম্বর) থেকে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে।
এ সময়ে হামাসের কাছে জিম্মি হওয়া প্রায় ২৪০ জনের মধ্যে ৫০ নারী ও শিশুকে মুক্ত করা হবে। বিনিময়ে ইসরায়েল ১৫০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে কারাগার থেকে মুক্তি দেবে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি