বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: যাবুরে এ সুসংবাদ লিখিত আছে যে, যারা আল্লাহর ইবাদাত করে এবং সৎকর্মপরায়ণ, তারা জানুক যে, সৎকর্মের প্রতিদান শুধু পরকালের জন্যই নির্দিষ্ট নয়; বরং দুনিয়াতেও আল্লাহ এরূপ বান্দাদের রাজত্ব ও শাসন ক্ষমতা প্রদান করবেন যেমনটি তিনি সূরা নূরের ৫৫ নম্বর আয়াতে উল্লেখ করেছেন। তবে সমগ্র বিশ্বের ওপর পরিপূর্ণ ন্যায়বিচারভিত্তিক এবং জুলুমমুক্ত রাজত্ব ও ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর সর্বশেষ স্থলাভিষিক্ত প্রতিনিধি দ্বাদশ ইমাম তথা ইমাম মাহদী (আ.)-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে।
পূর্ববর্তী ধর্মীয় গ্রন্থ বা আসমানি কিতাবগুলো এবং পবিত্র কুরআন পৃথিবীর আগামী দিনগুলোর অবস্থা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছে, সৎ ও মুমিন বান্দারাই হবে রাষ্ট্রীয় শাসন-ক্ষমতার অধিকারী।
বিশ্বে শাসন-ক্ষমতার অধিকারী হওয়া ও বিশ্বে ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য দুটি শর্ত জরুরি: আল্লাহ ও তার বিধি-বিধানের কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান ও বাস্তব ময়দানের অভিজ্ঞতা অর্জন করা।
সূরা বনী ইসরাইলের ৫২ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন- يَوْمَ يَدْعُوكُمْ فَتَسْتَجِيبُونَ بِحَمْدِهِ وَتَظُنُّونَ إِنْ لَبِثْتُمْ إِلَّا قَلِيلًا
যেদিন তিনি তোমাদের ডাকবেন, তোমরা তাঁর প্রশংসাবাণী উচ্চারণ করতে করতে তাঁর ডাকের জবাবে বের হয়ে আসবে এবং তখন তোমাদের এ ধারণা হবে যে, তোমরা অল্প কিছুক্ষণ মাত্র এ অবস্থায় কাটিয়েছ।