বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মহীয়সী হযরত ফাতেমা মাসুমা (আ.) হিজরি ১৭৩ সনের পহেলা জিলক্বদ মদিনায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি রবিউস সানী মাসের ১০ তারিখে ইন্তেকাল করেন। তিনি মদিনা থেকে তার ভাই ইমাম রেজার (আ.) সাথে সাক্ষাতের জন্য ইরানে আসেন এবং ইরানের কোম নগরীতে মাত্র ১৭ দিন অবস্থানের পর ওফাত বরণ করেন। এ শহরেই তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
নবী করিম (সা) এর মহান আহলে বাইতের সন্তান হজরত মাসুমা (সা) এর পবিত্র মাজার এখানে থাকার বরকতে কোম শহরের সুখ্যাতি বেড়ে যাবার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই মাজারের পাশেই গড়ে উঠেছে অসংখ্য দ্বীনি মাদ্রাসা ও ইসলাম ও ধর্মতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্র। গড়ে উঠেছে বিশাল মসজিদসহ আরও অনেক ধর্মীয় স্থাপনা। ইসলামের প্রচার ও প্রসারে এইসব প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা রয়েছে ব্যাপক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকগণ এই কোমের ধর্মতত্ত্ব কেন্দ্রে এসে গবেষণা করছেন আজও।
হিজরি সৌর বর্ষের তের শতকের শুরুর দিকে অর্থাৎ খ্রিষ্টীয় বিশ শতকের প্রাথমিক পর্বে আয়াতুল্লাহ মিরজায়ি কোমি এই ধর্মতত্ত্ব কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পেছনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। তাঁর পর আয়াতুল্লাহ শেখ আব্দুল করিম হায়েরি ইয়াজদি (রহ) ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে কোমে প্রবেশ করার মধ্য দিয়ে ধর্মতত্ত্ব কেন্দ্রের কাজ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় অর্থাৎ একেবারে সুসংগঠিত এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মতত্ত্ব কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ইসলামি বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ ইমাম খোমেনি (রহ) নিজেও আয়াতুল্লাহ শেখ আব্দুল করিম হায়েরির ছাত্র ছিলেন। শাবিস্তান