এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সুচিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে মিয়ানমারে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হয়। যার পর নিহত হয়েছেন গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক কর্মী ও সেনা শাসনবিরোধী হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ। সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনের (আসিয়ান) আঞ্চলিক ব্লকের
অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ সম্মেলনে ক্রমবর্ধমান এ বিষয়টি বেশ প্রাধান্য পেয়েছে। ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১১ নভেম্বর) আসিয়ান নেতৃবৃন্দ একমত হয়েছেন যে, কিভাবে মিয়ানমারে রক্তপাত বন্ধ করা যায়, সে বিষয়ে তারা বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। আসিয়ানের প্রথম দিনের আলোচনায় শীর্ষে ছিল মিয়ানমার সংকট। ভিয়েতনামের নমপেনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও যোগ দিচ্ছেন।
গুতেরেস বলেছেন, আমি মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষকে তাদের জনগণের কথা শুনতে, রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার এবং দ্রুত গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। স্থিতিশীলতা ও শান্তির এটাই একমাত্র পথ। তিনি বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি জনগণের জন্য একটি অন্তহীন দুঃস্বপ্ন এবং সমগ্র অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
মিয়ানমারে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য গত বছরের এপ্রিল মাসে যে ‘পাঁচ দফা’ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তাতে প্রাথমিকভাবে মিয়ানমার সম্মতি দিলেও সেটা তারা মেনে নেয়নি। এই পাঁচ দফা বাস্তবায়নের জন্য আসিয়ান নেতারা ঘর্মাক্ত হয়েছেন। পক্ষান্তরে রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে মিয়ানমার ভূমি।